বয়ানুল কুরআন (১ম খণ্ড)

৳ 550

বিগত চৌদ্দ শতকে প্রণীত হয়েছে হাজার হাজার তাফসীর গ্রন্থ। সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের সংক্ষিপ্ততা ও বিস্তৃতির মানদণ্ডে এ সবের আকার পরিধি ক্ষুদ্রতর থেকে বৃহত্তম। কোনো কোনোটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু সারগর্ভ, কয়েকশ পৃষ্ঠার পরিধিতে সীমিত। কোনোটি শত অর্ধশত খণ্ডের হাজার হাজার পৃষ্ঠায় বিশদ বিস্তৃত এবং অসার-বাতিল ও শরীয়তের মানদণ্ডে প্রত্যাখ্যাত এমন অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকল গ্রন্থই কম বেশি প্রচলিত। তবে প্রকৃতির নিয়মানুসারে কোনো কোনো তাফসীরগ্রন্থ যুগ যুগ ধরে বহুল পঠিত, সমাদৃত, সুপরিচিত ও কালজয়ী হওয়ার সৌভাগ্যে ভাগ্যবান।
নিকট অতীত (প্রায় একশ বছর পূর্বে) প্রণীত হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা শাহ আশরাফ আলী থানভী (রহ.) প্রণীত ‘তাফসীরে বয়ানুল কুরআন’ এই শেষোক্ত ভাগ্যবান তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এতে অন্তর্ভুক্ত তাফসীরের বিষয়সমূহ ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপন শৈলীর কারণে এ তাফসীর পূর্ণ শতাব্দী জুড়ে সমানভাবে প্রচলিত ও সমাদৃত রয়েছে।

লেখক

অনুবাদক

মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল বরিশালী

পৃষ্ঠা

607

প্রকাশনী

বাইন্ডিং

হার্ডকভার

ভাষা

বাংলা

কুরআন মাজীদ মহান আল্লাহ তা’আলার বাণী, তাঁর নিজস্ব কালাম যা লাওহে মাহফূজে সুরক্ষিত এবং আল্লাহ তা’আলা নিজেই যার হেফাজত ও সুরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তা’আলা দু’টি ধারা চলমান রেখেছেন। এক. রিজালুল্লাহ (আল্লাহর লোক) প্রেরিত মনীষীগণ—নবী-রাসূলগণ এবং কিতাবুল্লাহ—আল্লাহর কিতাব-আসমানী গ্রন্থমূহ। ইরশাদ হয়েছে-
যখন যখনই তোমাদের কাছে আসবে আমার পক্ষ হতে হেদায়েত-দিকনির্দেশনা! তখন যারা আমার হেদায়েত অনুসরণ করবে, তাদের জন্য নেই কোনো শংকা এবং তারা হবে না দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
হেদায়েতের এ চলমান ধারার সর্বশেষ গ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীম এবং সর্বশেষ মানব বিশ্বনবী খাতামুন্নাবিয়্যীন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
‘ইসলাম’ আল্লাহ তা’আলার পছন্দনীয় ও মনোনীত একমাত্র দীন। আল-কুরআন মানবজাতির জন্য তা কেয়ামত-স্থায়ী পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দীন-ইসলাম ও আল-কুরআনের ধারক-বাহক, বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী, সকল নবী-রাসূলের সরদার এবং সর্বশেষ নবী।
আল-কুরআনের সর্বপ্রথম মুফাসসির নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি একদিকে ছিলেন দীন-শরীয়ত তথা আল-কুরআনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি—সর্বোত্তম আদর্শ ‘উসওয়াতুন হাসানা’ এবং অপরদিকে সরাসরি আল্লাহ প্রদত্ত্ব ইলমের মাধ্যমে কুরআনের ব্যাখ্যাদাতা মুফাসসির। ইরশাদ হয়েছে (তিনি-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুই ব্যক্ত করেন না নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা হতে। যা কিছু বলেন তা তাঁর কাছে ওহীরূপে প্রেরিত। (আন নাজম : ৩-৪)
এবং (আমি আপনার নিকট ‘স্মারক’-আল-কুরআন নাজিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে তাদের প্রতি নাজিলকৃত বিষয়ের বয়ান-ব্যাখ্যা-তাফসীর উপস্থাপন করেন… (সূরা নাহল-৪৪) এবং আপনার অন্তরে জমিয়ে দেয়া, তা জনগণের সামনে পাঠ করিয়ে দেওয়া এবং তার বয়ান-ব্যাখ্যা-তাফসীর করিয়ে দেয়া আমার (আল্লাহর) দায়িত্বে। (সূরা কিয়ামাহ : ১৭-১৯)
সুতরাং তাফসীরের মূল উৎস আল্লাহ তাআলার ওহী এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই প্রথম ‘মুফাসসির’।
বিগত চৌদ্দ শতকে প্রণীত হয়েছে হাজার হাজার তাফসীর গ্রন্থ। সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের সংক্ষিপ্ততা ও বিস্তৃতির মানদণ্ডে এ সবের আকার পরিধি ক্ষুদ্রতর থেকে বৃহত্তম। কোনো কোনোটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু সারগর্ভ, কয়েকশ পৃষ্ঠার পরিধিতে সীমিত। কোনোটি শত অর্ধশত খণ্ডের হাজার হাজার পৃষ্ঠায় বিশদ বিস্তৃত এবং অসার-বাতিল ও শরীয়তের মানদণ্ডে প্রত্যাখ্যাত এমন অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকল গ্রন্থই কম বেশি প্রচলিত। তবে প্রকৃতির নিয়মানুসারে কোনো কোনো তাফসীরগ্রন্থ যুগ যুগ ধরে বহুল পঠিত, সমাদৃত, সুপরিচিত ও কালজয়ী হওয়ার সৌভাগ্যে ভাগ্যবান।
নিকট অতীত (প্রায় একশ বছর পূর্বে) প্রণীত হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা শাহ আশরাফ আলী থানভী (রহ.) প্রণীত ‘তাফসীরে বয়ানুল কুরআন’ এই শেষোক্ত ভাগ্যবান তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এতে অন্তর্ভুক্ত তাফসীরের বিষয়সমূহ ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপন শৈলীর কারণে এ তাফসীর পূর্ণ শতাব্দী জুড়ে সমানভাবে প্রচলিত ও সমাদৃত রয়েছে।
এটি একটি সর্বজন স্বীকৃত বিষয় যে, নিকট অতীতে মুসলিম বিশ্বে, বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে জন্মলাভকারী বিশিষ্ট মনীষী ও ইলম-আমলে শীর্ষচূড়ায় অবস্থানকারী ধীমান প্রজ্ঞাবান আলেমদের তালিকায় থানবী (রহ.) ছিলেন অন্যতম। বিশেষত তিনি ছিলেন দীনি প্রায় সকল বিষয়ে ‘মুজতাহিদ’ সুলভ প্রতিভা ও প্রজ্ঞার অধিকারী এবং তাঁর তাফসীরগ্রন্থও এ বিষয়ের সমুজ্জল প্রমাণ।
থানভী (রহ.) তাঁর তাফসিরগ্রন্থের ভূমিকায় তাফসীর জগতে তাঁর আগমনের কারণ বর্ণনায় লিখেছেন…. ‘পাঠকদের অবস্থার পরিবর্তন ও তাদের স্বভাব-চাহিদার বিবর্তন তো কারো নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ভাষার ব্যবধান এবং সময়ের ব্যবধানে ভাষাশৈলী ও ভাষা-রুচি পরিবর্তনের কারণটি নতুন ‘তরজমা’ লেখার গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিযুক্ত কারণ সাব্যস্ত হলো। চিন্তা-ভাবনা পরামর্শ ও মত বিনিময়ের পরে নতুন যুগের পাঠকদের জন্য এমন একটি নতুন ‘তরজমা’ পরিবেশনের প্রয়োজনীয়তা সাবস্ত হলো, যার ভাষা, ভাষারীতি ও বিষয় উপস্থাপন তাদের রুচির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং প্রয়োজন পূরণে সফল হবে।
ঠিক একই ধারায়-তাফসীরে বয়ানুল কুরআনের অনুবাদ ‘তাফসীরে আশরাফী’ দক্ষ হাতের সফল অনুবাদরূপে সমকালীন প্রয়োজন মেটাবার ঊর্ধ্বে পাঠকের তাফসীর মানসিকতা সৃষ্টিতে সফল হয়েছিল। কিন্তু, কী করা যাবে? সময়ের ব্যবধানে নতুন ভাষাশৈলী ও নতুন আঙ্গিকের রুচি-চাহিদা, প্রয়োজন অত্যন্ত জোরালো ও তীব্র হয়েছে। এছাড়া পূর্ববর্তী অনুবাদে সময়ের চাহিদার নিরিখে বিষয় সংক্ষেপ করা হয়েছিল। অথবা কোনো কোনো বিষয় অনুবাদের বাইরে রাখা হয়েছিল। এখন, চলমান পাঠক রুচি ও চাহিদা জরিপের আলোকে সাবলীল ভাষায় এবং মূল গ্রন্থে বিদ্যমান সকল বিষয়ের আনুপূর্বিক অনুবাদ উপস্থাপন সঙ্গত মনে হয়েছে।
মূল গ্রন্থকার (থানভী রহ.) জটিল, সংবেদনশীল ও বিশেষ বিষয়গুলো আরবী টীকা-ভাষ্যে উপস্থাপন করেছেন। যাতে সাধারণ পাঠকরা এগুলোর পাঠ ও মর্মোদ্ধারের চিন্তাই না করে। আর কঠিন বিষয়গুলোর জন্য তিনি শেষস্তরের শিক্ষার্থীর সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং নিজে নিজে বুঝার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছেন।
কিন্তু বর্তমানের বাস্তবতা এই যে, থানবী রহ. অতুলনীয় প্রখর মেধা ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের অধিকারী হওয়ার কারণে তাঁর তাফসীর ও টীকায় সংক্ষিপ্ত ভাষ্যে উপস্থাপন রীতি অবলম্বন করেছেন এবং ইঙ্গিতই ধীমানের জন্য যথেষ্ট হওয়ার নীতি অনুসরণ করেছেন। এতে অনেক বিষয়ের ক্ষেত্রেই শেষস্তরের শিক্ষার্থী তো বটে, বর্তমান সময়ের বিশিষ্ট আলেমদের ব্যতীত অন্য কারোর পক্ষে পূর্ণাঙ্গ মর্মোদ্ধার অত্যন্ত সুকঠিন বা প্রায় অসম্ভব। এ দিকে লক্ষ করে সমগ্র বিষয়েই অনুবাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাতে যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ফায়দা হাসিল করতে সক্ষম হবে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বয়ানুল কুরআন (১ম খণ্ড)”

১ম ধাপ: পছন্দের বইটিকে CART এ এড করুন। অর্থাৎ 'এখনই কিনুন' বাটনে ক্লিক করুন
২য় ধাপ: এবার আপনার CART পেজ এ যান। (ওয়েবসাইট এর উপরের ডান কোণায় CART মেনুতে যান এবং VIEW CART এ ক্লিক করুন)
৩য় ধাপ: আপনার কার্ট আইটেমগুলো দেখে নিন এবং সবকিছু ঠিক থাকলে Proceed to Checkout এ চলে যান।
৪র্থ ধাপ: আপনার শিপিং ঠিকানা ও বিবরণ দিন এবং পেমেন্ট সম্পন্ন করুন
৫ম ধাপ: এরপর PLACE ORDER এ ক্লিক করুন।

একাধিক বই কিনতে: যতগুলো বই কিনতে চান সবগুলো CART এ এড করুন, তারপর চেকআউট করুন।

আপনি অর্ডার করার পর, আমরা পেমেন্ট চেক করবো এবং আপনার বই/বইগুলো ডেলিভারি দেয়া হবে। যে কোনও প্রকার হেল্প এর জন্য আমাদের ফোন অথবা মেইল করুন।