আসল বাড়ির খোঁজে

৳ 270

উপন্যাসটি মূলত লেখকের যথেষ্ট সচেতনতায় কল্পনার জগতে বিচরণরত এক মানুষকে কবরের জগত থেকে উঠানোর পর যে সকল ঘটনা ঘটবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে।

বইটিতে আল্লাহ্‌ পাকের একচ্ছত্র মালিক হওয়ার কথা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছে, কিভাবে তিঁনি বিচার ব্যবস্থা কায়েম করবেন ও সাক্ষ্য গ্রহণ করার সময় নিজের রহমতকে রাগের উপর বিজয়ী করবেন তা সুন্দর শব্দমালায় ব্যক্ত হয়েছে। জাহান্নামে বাসকারীদের আর্তনাদ ও তাদের কষ্টদায়ক জীবনের বর্ণনা এসেছে।

লেখক

অনুবাদক

ওয়ালী উল্লাহ আরমান

প্রকাশনী

দেশ

ভাষা

বাংলা

পৃষ্ঠা

224

লেখক পরিচয় :
উপন্যাসটির লেখক আবু ইয়াহইয়া পাকিস্তানের একজন বিখ্যাত লেখক, সাংবাদিক এবং অনুবাদক যে কথাটি উল্লেখ করেন নি, সেটি হলো তিনি বড় মাপের সৃজনশীল, কল্পনাবিলাসীও বটে। উপন্যাসে তিনি যেভাবে পরকালের প্রতিটি মুহূর্ত বর্ণনা করেছেন তা কেবল এক সাচ্চা ঈমানদারের পক্ষেই সম্ভব, তাহলে আমি বলবো তিনি ঈমানদারও অবশ্যই।
অনুবাদক জামিয়া আরাবিয়্যা দারুল উলুম নতুন মুহাদ্দিস সাহেব যা উপন্যাসের অনুবাদকে বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য পড়ার সুযোগ করে দিয়ে পরকালকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।

প্রায় সবমানুষ দুনিয়ামুখী হয়ে আরাম-আয়েশের জন্য একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত। আখিরাতের জীবন সমন্ধে গাফেল হয়ে পড়ে আছে। এই বইটি আখিরাতের বাস্তব জীবন একবার স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য উত্তম একটা ব্যবস্থা।

পর্যালোচনা:
উপন্যাসটি মূলত লেখকের যথেষ্ট সচেতনতায় কল্পনার জগতে বিচরণরত এক মানুষকে কবরের জগত থেকে উঠানোর পর যে সকল ঘটনা ঘটবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে।

উপন্যাসটির মূল চরিত্র আব্দুল্লাহ, যে একজন আল্লাহ্‌ পাকের দ্বীনের দায়ীকে কেন্দ্র করে যে কিনা নিজের জীবনের পুরো সময়টা আল্লাহ্‌ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ব্যয় করেছে। সে তার জীবন আল্লাহ্‌ দ্বীনকে মানুষের কাছে পৌছানোর কাজে অতিবাহিত করেছে। সে মুসলিম, অমুসলিম সবাইকে মৌখিক দাওয়াতের পাশাপাশি লেখনির মাধ্যমেও দ্বীনের প্রচার করেছেন। অনেক মানুষ তার দেয়া দাওয়াত গ্রহণ করে সঠিক পথে ফিরে এসেছে। প্রথমে সে কবর থেকে উঠেই তাঁর ডান কাধের ফেরেশতা সালেহ এর সাক্ষাত পায়, যে দুনিয়ার জীবনে তাঁর নেক আমল লিপিবদ্ধ করতো। এই সালেহ তাকে সাথে নিয়ে আখিরাতের জীবনের পথ চলা শুরু করে।

এখানে আব্দুল্লাহকে সৌভাগ্য অর্জনকারীদের মধ্যে উল্লেখ করে এক বিশেষ যোগ্যতা দেয়া হয় যাতে করে সে হাশরের ময়দান, আরশের আশে পাশে, হাউজে কাউসারের নিকট অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করে লেখক চমৎকার ভাবে ফেরেশতা সালেহ ও আব্দুল্লাহর কথোপকথনের মাধ্যমে হাশরের ময়দান, আল্লাহ’র আরশের নীচে, হাউজে কাউসারের খুব সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরেছেন যা পাঠককে সেখানে সহজেই যেন পৌছে দেয়।

এখানে হাশরের ময়দানে মানুষের ভয়াবহতা, মানুষের আহাজারি প্রকৃতির জান্নামসাদৃশ অবস্থা ভালভাবে ফুটে উঠেছে। লেখক কিছু চরিত্র সৃষ্টি করে তাদের খারাপ কৃতকর্মের ফলে হাশরের ময়দানে কিভাবে কষ্ট ও ভয়াবতায় কাটাতে হবে তার চিত্র এঁকেছেন। মানুষের দুনিয়াতে কিভাবে বেখবর, বেপরোয়া, বিলাসী মোটকথা দুনিয়ামুখী জীবনের ফলে পরকালে যে কি শাস্তি অপেক্ষা করছে তা তুলে ধরেছেন। সফল মানুষগুলো কিভাবে সম্মানিত হবে, কিভাবে নবীদের সাক্ষাত পাবে, কিভাবে আরশের নীচে ছায়া পাবে এবং কিভাবে হাউজে কাউসারের পানি পান করে সেখানে পরিতৃপ্ত হবে তা উঠে এসেছে।

এরপর যখন আল্লাহ্‌ পাকের নিজ ত্বত্তাবাধনে হিসাব-নিকেশ শুরু করবেন এর বর্ণনা এসেছে। প্রত্যেক নবী তাঁর উম্মতদের জন্য সাক্ষ্য দিবেন এবং উম্মতগণও নবীর দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করবেন। সফলকাম মানুষগুলোর খুশির শেষ থাকবে না যখন আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে। পক্ষান্তরে ব্যর্থ মানুষগুলোর দুঃখ শেষ হবে না যখন আমলনামা বাম হাতে পাবে। এছাড়া অনেকে হিসাব-নিকেশ করে শেষ মুহূর্তে অল্পের জন্য বেঁচে যাবে যেমন মূল চরিত্র আব্দুল্লাহর পুত্র বেঁচে যায়। আবার খারাপ নেতা-কর্মী, আলেম-বিদাতীসহ বদকারদের ভয়াবহতা উল্লেখ করা হয়েছে।

এরপর পুলসিরাত পার হওয়ার বর্ণনা, মুমিনদের নিজ নবীর সাথে রওনা হওয়া, মুনাফিকদের দিকবিদিগ হন্য হয়ে চলা এবং শেষে জাহান্নামের অতল গহ্বরে পতিত হওয়ার কথা উল্লেখ আছে। এরপরই কাঙ্খিত জান্নাতের বর্ণনা এসেছে, যেখানকার পরিবেশ কল্পনাতীত সুন্দর। গিলমানদের বর্ণনা এসেছে, হুরদের অনেক লম্বা বর্ণনা এসেছে এবং জান্নাতের প্রশস্ততা, এর সৌন্দর্য, বসবাসের প্রাসাদের বর্ণনা এসেছে এমনভাবে, যে কারও লোভ জন্মাবে। এখানেই শেষ নয়, জান্নাতে কিভাবে একজনের ইচ্ছা চাওয়ার সাথে সাথে পূর্ণ হওয়া, শপিং করা এবং শেষে আল্লাহ্‌ পাকের দরবারে সাক্ষাতের বর্ণনা এসেছে।

বইটিতে আল্লাহ্‌ পাকের একচ্ছত্র মালিক হওয়ার কথা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছে, কিভাবে তিঁনি বিচার ব্যবস্থা কায়েম করবেন ও সাক্ষ্য গ্রহণ করার সময় নিজের রহমতকে রাগের উপর বিজয়ী করবেন তা সুন্দর শব্দমালায় ব্যক্ত হয়েছে। জাহান্নামে বাসকারীদের আর্তনাদ ও তাদের কষ্টদায়ক জীবনের বর্ণনা এসেছে।
উপন্যাসটি মোট পনেরটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত।

 

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “আসল বাড়ির খোঁজে”

১ম ধাপ: পছন্দের বইটিকে CART এ এড করুন। অর্থাৎ 'এখনই কিনুন' বাটনে ক্লিক করুন
২য় ধাপ: এবার আপনার CART পেজ এ যান। (ওয়েবসাইট এর উপরের ডান কোণায় CART মেনুতে যান এবং VIEW CART এ ক্লিক করুন)
৩য় ধাপ: আপনার কার্ট আইটেমগুলো দেখে নিন এবং সবকিছু ঠিক থাকলে Proceed to Checkout এ চলে যান।
৪র্থ ধাপ: আপনার শিপিং ঠিকানা ও বিবরণ দিন এবং পেমেন্ট সম্পন্ন করুন
৫ম ধাপ: এরপর PLACE ORDER এ ক্লিক করুন।

একাধিক বই কিনতে: যতগুলো বই কিনতে চান সবগুলো CART এ এড করুন, তারপর চেকআউট করুন।

আপনি অর্ডার করার পর, আমরা পেমেন্ট চেক করবো এবং আপনার বই/বইগুলো ডেলিভারি দেয়া হবে। যে কোনও প্রকার হেল্প এর জন্য আমাদের ফোন অথবা মেইল করুন।